1. live@www.dainikajkernayabangla.com : দৈনিক আজকের নয়া বাংলা : দৈনিক আজকের নয়া বাংলা
  2. info@www.dainikajkernayabangla.com : দৈনিক আজকের নয়া বাংলা :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
” সবার জন্য মানবাধিকার, সবার জন্য মর্যাদা ” ৭৮ তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস সাঁথিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ধুনটে নবাগত ওসির সঙ্গে জনপ্রতিনিধি ও গণঅধিকার পরিষদের সাক্ষাৎ দিঘলিয়ার নবাগত অফিসার ইনচার্জের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানবাধিকার দিবস -২০২৫ উপলক্ষ্যে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত…… সীমান্তে ৫৩ বিজিবির পৃথক পৃথক অভিযানে ভারতীয় মদ, শাড়ী, চাদর ও ২টি গরু জব্দ “মানবতার শিক্ষায় শিক্ষিত প্রজন্ম মানবাধিকার রক্ষার ভিত্তি “ ‘ইত্যাদি’র নতুন পর্বের শুটিং চুয়াডাঙ্গায়, প্রচার ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ কলেজে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -২০২৫

ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে বিপদে পড়তে পারে যেসব দেশ

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে
আসছে নভেম্বরে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে কে জয়ী হবেন এবং কেমন হবে তাঁর প্রশাসনের নীতি, তা নিয়ে কৌতূহল বলতে গেলে পুরো আন্তর্জাতিক মহলে। কারণ দেশটির পররাষ্ট্র, সামরিক ও বাণিজ্যনীতি সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ মিত্র ও অংশীদারদের ওপর এসব নীতির প্রভাব স্পষ্ট। এই কারণে নতুন প্রেসিডেন্টের পরিবর্তিত নীতি দেশটির মিত্র ও অংশীদারদের নানাভাবে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
জো বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির ও ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচন যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে‑ই জিতুক অল্প ব্যবধানে জিতবে, এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
পরিবর্তিত নীতির কারণে বিভিন্ন দেশ ঝুঁকিতে পড়তে পারেপরিবর্তিত নীতির কারণে বিভিন্ন দেশ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ছবি: ইআইইউএমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বিশ্বে কী কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন করেছে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। এই প্রতিবেদনের নাম দেওয়া হয়েছে, ট্রাম্প রিস্ক ইনডেক্স বা টিআরআই। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ৭০টি বাণিজ্য অংশীদারদের নানাভাবে ঝুঁকিতে পড়ার বা বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে বাণিজ্য, অভিবাসন, নিরাপত্তা, সামরিক সহায়তার মতো বিষয়গুলো হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ খাত : এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন নীতি ও খাত বিষয়ে প্রশাসনিক অবস্থানকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে তিনটি বিষয়কে–
উচ্চ শুল্ক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যেসব খাতে বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হবে, সেগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক খাত অন্যতম। এরই মধ্যে ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামের মতো পণ্যের আমদানিতে তিনি উচ্চ শুল্ক আরোপ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই উচ্চ শুল্ক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় ট্রাম্পের রিস্ক ইনডেক্স বা টিআরআই ৪০ শতাংশ।
নিরাপত্তা: ট্রাম্প মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য কঠিন সব শর্ত দেবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে মিত্রদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নতুন রূপ পেতে পারে। ন্যাটোসহ বিভিন্ন জোটে তিনি মিত্রদের কাছ থেকে বেশি হারে আর্থিক ও বস্তুগত (সামরিক সরঞ্জাম, সেনা ইত্যাদি) সহায়তা চাইতে পারেন। এই খাতেও টিআরআই ৪০ শতাংশ।
সীমান্ত নিরাপত্তা: ট্রাম্প সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ও অন্যভাবে অভিবাসীদের ঠেকাতে তহবিলে বড় বরাদ্দ দেবে বলে আভাস মিলেছে। এমনকি অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের ওপর মনোযোগ দিতে পারেন ট্রাম্প। এসব নীতি বৈধ অভিবাসী শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের আগমনের পথ আরও কঠিন করবে। এসব খাতে টিআরআই ২০ শতাংশ।
বেশি ঝুঁকির দেশ
মেক্সিকো: ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির কারণে যেসব দেশ বেশি ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে মেক্সিকো সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের বাণিজ্যিক ও অভিবাসন-সংক্রান্ত সম্পর্ক রয়েছে। মেক্সিকোর বিষয়ে টিআরআই ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ।
কোস্টারিকা: বেশি ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কায় দ্বিতীয় অবস্থানে মধ্য আমেরিকার দেশ কোস্টারিকা। দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। কোস্টারিকার বিষয়ে টিআরআই ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক থাকায় লাতিন আমেরিকার কিছু দেশও নানাভাবে ঝুঁকিতে পড়তে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জার্মানি ও জাপান: টিআরআইয়ে জার্মানির অবস্থান তৃতীয়। জাপানের অবস্থান সপ্তম। এর মধ্যে জার্মানি ন্যাটো সদস্য। জাপান ন্যাটো সদস্য না হলেও দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের নিরাপত্তা চুক্তি আছে। দুই মহাদেশের এই দুই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পাশাপাশি সামরিক চুক্তি আছে। একদিকে দেশ দুটি নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বড় অংশে নির্ভরশীল। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা খাতে নিজেদের জিডিপি তুলনামূলক কম ব্যয় করে।
কম ঝুঁকির দেশ
অস্ট্রেলিয়া: ট্রাম্প ফের হোয়াইট হাউসে এলে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব মিত্র বা অংশীদার কম ঝুঁকিতে পড়বে সেগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কারণ প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কে এক ধরনের দূরত্ব আছে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেরে সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা সম্পর্কও ভারসাম্যপূর্ণ।
সৌদি আরব: মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পুরাতন ও বড় মিত্রদের অন্যতম সৌদি আরব। তবে গত কয়েক বছরে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নানা খাতে কমেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম আমলে দেশটির সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক ভালো থাকলেও বাইডেনের আমলে তা খারাপ ছিল বলা যায়। একদিকে সৌদি আরব সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নিজেদের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে এবং বহুমুখী করেছে। অন্যদিকে সৌদির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি নির্ভরতা কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন নিজেই বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ। এসব কিছুর কারণে মাত্র ৯ দশমিক ৪ টিআরআই নিয়ে কম ঝুঁকিতে থাকা দেশের মধ্যে সৌদির অবস্থান ৭০তম। অর্থাৎ ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় মিত্র হওয়া সত্ত্বেও দেশটির এতটা ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা নেই। ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও অংশীদারেরা নিরাপত্তার দিক থেকে কীভাবে কতটা ঝুঁকিতে পড়তে পারে, সে আলোচনা তো হলো। এবার বাণিজ্য খাতের দিকে নজর দেওয়া যাক।

মেক্সিকো ও কানাডা:

চীন: বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার চীন। চীনের সঙ্গে শুল্ক ও বাণিজ্য যুদ্ধ ট্রাম্পই শুরু করছিলেন। তিনি ইতিমধ্যে চীনা পণ্যে বড় ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় আমলে চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
জার্মানি ও ভারত: ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে তিনি বিভিন্ন দেশের সবচেয়ে সুবিধাজনক বাণিজ্য তকমা বা মোস্ট-ফেভারড-নেশন ট্রেডিং স্ট্যাটাস বাতিল করবেন। চালু করবেন স্থায়ী স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক। এতে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি ও আয়ারল্যান্ড এবং এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও ভিয়েতনাম বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বলয়ে থাকা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্য নীতির কারণে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড কম ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ এসব দেশ বাণিজ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীন ও এশিয়ার অন্য দেশের ওপর বেশি নির্ভরশীল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্সবিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে দেশ হিসেবে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ইউক্রেন। কারণ তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় নিয়ে তিনি বেশ অসন্তুষ্ট। ট্রাম্প বারবার ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তার সমালোচনা করেছেন।
‘প্রজেক্ট ২০২৫’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ক্ষমতাকাল কেমন হতে পারে, ইতিমধ্যে তার একটি খসড়া তৈরি করেছেন রিপাবলিকান থিঙ্ক ট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এ খসড়া নীতি পরিকল্পনাকে বলা হচ্ছে ‘প্রজেক্ট ২০২৫’।
ট্রাম্প প্রশাসনে ডানপন্থীদের আধিপত্য সৃষ্টি, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সম্প্রসারণ, পারমাণবিক অস্ত্র ভান্ডার বৃদ্ধি, চীনের বেশ্বিক উত্থান রুখে দেওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার তহবিলে অর্থ জোগান বন্ধ করা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যায় মনোযোগ দেওয়াসহ পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের রূপরেখা উল্লেখ করে ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্প অস্বীকার করলেও তাঁর প্রচারশিবিরের উপদেষ্টারা ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ প্রণয়নকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন বলে জানা গেছে। জুড লেগাম নামের মার্কিন এক সাংবাদিকের দাবি, প্রকল্পটি লিখতে বা সম্পাদনা করতে সহায়তা করেছেন এমন ৩৮ জনের মধ্যে ৩১ জনই ট্রাম্পের শাসনামলে প্রশাসনে কোনো না কোনো দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রজেক্টের অংশীদারদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় রক্ষণশীল সংগঠন ও গ্রুপ রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ধুনটে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু—খুঁটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রস্তুতির সূচনা আশেকে এলাহী শিবলী ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি টঙ্গীর বৈশ্বিক ইজতেমার পর দেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বিতীয় বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিত ধুনট পূর্ব ভরণশাহী ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম খুঁটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। শুরায়ে নেজামের তত্ত্বাবধানে আহলে হক্ব ওলামায়ে কেরামদের নির্দেশনায় পরিচালিত এ ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতের প্রথম ধাপে আজ রবিবার (০৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টায় উদ্বোধনী দোয়া ও নসীহতের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগ জামাতের সাথী, সাধারণ মুসল্লি ও স্থানীয় মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে মাঠ প্রস্তুতের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রধান অতিথি তাবলীগ জামাতের প্রবীণ মুরুব্বি হযরত মাওলানা রেজাউল করিম সাহেব (কাজিপুর) ইজতেমার তাৎপর্য ও আখেরাতমুখী জীবনের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন— “ইজতেমার মাঠের জন্য যারা সহায়তা করছেন, শ্রম ও সময় দান করছেন—এই সব amal আখেরাতে অফুরন্ত সওয়াবের কারণ হবে ইনশাআল্লাহ।” অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মুফতি খোরশেদ আলম, মুফতি শাহাদাৎ হোসাইন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাসুম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক, মাওলানা মাসুদুর রহমান সুমন, মুফতি এনামুল হক আরেফী, মুফতি আতিকুর রহমান, হাফেজ রেজাউল করিম, মাওলানা রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ। স্থানীয় মুরুব্বিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— আখতার আলম সেলিম, মাহবুব হোসেন চঞ্চল, দুলাল হোসেন মল্লিক, আলামিন হোসেন, শামিম খান, আঃ মান্নান খান—এ ছাড়া তাবলীগ জামাতের অসংখ্য যুবক-বৃদ্ধ সাথী ভাই এবং এলাকার সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেন। ইজতেমা কর্তৃপক্ষ আগামী দিনগুলোতে মাঠ প্রস্তুতসহ সকল কার্যক্রমে এলাকার মুসল্লি, যুব সমাজ, ওলামায়ে কেরাম এবং তাবলীগ জামাতের সাথীদের আন্তরিক উপস্থিতি ও সক্রিয় সহযোগিতার জন্য দাওয়াত ও আহ্বান জানিয়েছেন। শেষে হযরত মাওলানা রেজাউল করিম সাহেবের বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে উদ্বোধনী দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। মাঠ প্রস্তুতির এ সূচনা এলাকাবাসীর মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে

রাস্তার খুলে দেওয়ার দাবিতে পশ্চিম সেওতা মানববন্ধন। দৈনিক নয়া বাংলা মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি। মানিকগঞ্জ পৌরসভাধীন ১ নং ওয়ার্ড পশ্চিম সেওতা রাস্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ শতাধিক নারী মানুষ। ৭ই ডিসেম্বর ২০২৫ ইং রবিবার সকাল ১১ টায় মানিকগঞ্জ পৌরসভারধীন ১ নং ওয়ার্ড পশ্চিম সেওতা রাস্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার সাধারণ জনগণ। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে রাস্তার দাবীতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। পশ্চিম সেওতার শত শত লোকের অভিযোগ আক্তার হোসেন এবং হাশেম গং পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয় আক্তার হোসেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ড্রাইভার হওয়ার সুবাদে দাপট খাটিয়ে এলাকাবাসীর যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষের রাস্তা ‌প্রতিবন্ধীকতার সৃষ্টি করে। মানববন্ধনে এলাকাবাসীর অভিযোগ নূরে মদিনা মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে মুসল্লিরা এবং ছেলেমেয়েরা যেন মসজিদে যাইতে না পারে সেই জন্য পূর্বপরিকল্পিত ভাবে যাতায়াতের রাস্তা আক্তার গং এবং হাশেম ১০০ বছরের যাতায়াতের পুরাতন রাস্তা বন্ধ করে দেয়। মানববন্ধনকারীদের আরো অভিযোগ এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ারের মধ্যস্থতায় যাতায়াতের রাস্তা দেওয়ার জন্য রাজি থাকা সত্ত্বেও আক্তার ও হাশেম যাতায়াতের রাস্তা পরবর্তীতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে ডাক্তার হারুন মুন্সি বলেন সাবেক কাউন্সিলরা এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ গণ উপস্থিত থেকে রাস্তা সমস্যা সমাধান করে দিলেও পরবর্তীতে আক্তার ও হাশেম রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে অবশেষে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর রাস্তা দেওয়ার আবেদন পেশ করেন। এলাকাবাসীর আশা প্রশাসনের উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ জনগণের সুবিধার্থে যাতায়াতের রাস্তা দেওয়ার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট