,আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনি সহায়ক কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন রাজশাহী কমিটির আয়োজনে, র্যালী ও পথসভা করে। সংস্থার পরিচালক মোঃ আইয়ুব আলী তালুকদারের পরিচালনায়, গতকাল বেলা ১১টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে জমায়েত হয়ে একটি র্যালী বের করে, র্যালীটি সাহেব বাজার, মণিচত্তর ও কুমারপাড়া মোড় ঘুরে জিরোপয়েন্টে পথসভা করে। সংস্থার মহানগর কমিটির সভাপতি, অশোক কুমার শাহা'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান,বিশেষ অতিথি রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ চৌধুরী আদিত্য, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা রাজশাহী প্রতিনিধি, আনিসুজ্জামান আনিস, আসকের বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, মহানগর কাঁচাবাজার পাইকারি ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন দীপক, মানবাধিকারকর্মী আনোয়ার হোসেন আনন, সাহেব বাজার ক্রোকারিজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক,অহাইদুল ইসলাম অপুল, ইন্জিনিয়ার মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কারাতে প্রশিক্ষক মাহামুদুন্নবী তুষার, সমাজসেবক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ তাহেরুল ইসলাম, তাহের আলী, জলিল বিশ্বাস মার্কেট এর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজিব, তাসফিয়া সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক,,,,, সাদ ফুবস এর সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ মিজানুর রহমান মেরাজ,মানিক গোপাল পাল, মোঃ সুমন আলীসহ আসকের সদস্য এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যাবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও মানবিক ব্যাক্তিবর্গ। সভায় অতিথিগন বক্তব্যে বলেন। ‘জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে। কিন্তু যুগযুগান্তর ধরে দিবসটি পালন করলেও আজো মানবাধিকার নিশ্চিত করণ করা যায়নি। কারন হিসেবে বক্তাগন বলেন, অঞ্চলভিত্তিক গুটিকয়েক, মাদক ব্যবসায়ী,সন্ত্রাসী, দখলবাজ,চাঁদাবাজ, চোর ছিনতাইকারী,ও জুয়াড়ি এবং সুবিধাভোগী ব্যাক্তির অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে আজো মানবাধিকার নিশ্চিত করা যায়নি।
মানবাধিকার, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে পক্ষ পাতিত্য পরিহার করে প্রকৃত মানবাধিকারকর্মী তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়। পথবাসী মানুষের জীবন, ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্ট গৃহহীন ও ভূমিহীন এবং ফুটপাত ব্যাবসায়ীদেরকে পূনর্বাসন,বেকার যুবক যুবতী ও কর্মহীন মানুষের কর্মব্যাবস্থা,গরীবদের জন্য সরকারি হাসপাতালে সম্পুর্ন বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা,পরিক্ষা ও ঔষধ কোম্পানির কাছে কমিশন বানিজ্য এবং ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রবণতা কমিয়ে আনার বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার তাগিদ দেন।
ভেজাল ওষুধ নির্মূল, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, মাদকব্যবসা প্রতিরোধ এবং গণধর্ষণের মতো অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে
স্থানীয় জনগণ এক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করলে, সমাজ ও দেশে সত্যিকারের মানবাধিকার নিশ্চিত করা হবে।এবং
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনের সুফল পাওয়া যাবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনি সহায়ক কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন মনে করে আগামীতে নির্বাচিত সরকার গঠন হলে দেশের সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে পাবে এবং দলমত
ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে সবাই মিলেমিশে বসবাস করবে।