র্যাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ছিনতাইকারী এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইং ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল-১৫.৪০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও ২০ হাজার টাকার অর্থদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন (২৯), পিতা-মৃত ডিল্লাহ শেখ, সাং-চক রাজাপুর, থানা-বাঘা, জেলা-রাজশাহীকে গ্রেফতার করে।ঘটনা সূত্রে জানা যাড, গত ১৪/০১/২০০৭ তারিখে ভিকটিম মমতাজ এর সহিত সূত্রোক্ত মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি মোঃ আলমগীর (২৯) এর বিবাহ বন্ধন হয়। বিবাহের পরে ভিকটিম তার পিতার বাড়ীতে থাকতো এবং উক্ত আসামি ভিকটিমের বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতো। একইভাবে উক্ত আসামি গত ১৪/০৪/২০০৭ তারিখে ভিকটিমের বাড়ীতে বেড়াতে আসে এবং বিকাল ১৬.০০ ঘটিকার দিকে তাদের দুজনের মধ্যে রাগারাগি হয়। কথা কাটা-কাটির একপর্যায়ে উক্ত আসামি ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরে খুটির সাথে ঝুলিয়ে রাবে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় উক্ত ঘাতক স্বামী আলমগীর'কে আটক করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে এবং ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় উক্ত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পোস্টমার্টাম করে লাশ দাফন করা হয়। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। মামলার তদন্ত চলাকালে উক্ত আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করে। উক্ত আসামির বাড়ী রাজশাহীর বাঘা থানাধীন চক রাজাপুর হওয়া সত্ত্বেও উক্ত আসামি নিজের পরিচয় গোপন করে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানায় বসবাস করে। পরবর্তীতে আদালতে হাজিরা না দিয়ে রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় আত্মগোপন করে। আত্মগোপনে থাকাকালীন সে পুনরায় নতুন ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি কার্ড তৈরী করে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করে আসছিল। এরই মাঝে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক মামলার চার্জশীট কোর্টে জমা দিলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক উক্ত আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৬ সালে মৃত্যুদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে এবং আসামিকে গ্রেফতারে ওয়ারেন্ট জারি করে। আসামিকে গ্রেফতাবের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ব্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহীর ও ব্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনের ভিত্তিতে নারকীয় হত্যাকান্ডের মূলহোতা এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি মোঃ আলমগীর (২৯)কে ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল ১৫.৪০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিবাবো নামক এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত আসামিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা ও প্রমুখ।